চ্যারিটি ইউনিভার্সিটিতে বর্তমানে একক বা অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সাথে পার্টনারশীপের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রকল্পের আওতায় প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চলমান। এগুলোর আওতায় বেশ কয়েকটি বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। অতএব অসহায়, দরিদ্র ও মেধাবী তরুণ-তরুণীদের চ্যারিটি ইউনিভার্সিটি এর এসব কোর্স করার জন্য আহবান করা হচ্ছে ।
চ্যারিটি ইউনিভার্সিটি এর অধীনে (এসো) সেল্ফ এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড প্রোভারটি এলিভিয়েশন প্রকল্পের আওতায় পুরুষ নারীদের তিন মাসব্যাপী বিভিন্ন বিভাগে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। প্রতিবছর নারীদের চারবার ও পুরুষদের ছয়বার ভর্তি করা হবে। প্রতি ব্যাচে বিভিন্ন ট্রেডে চ্যারিটি ইউনিভার্সিটি বিভিন্ন কেন্দ্রে ২৭০ জন নারী ও ২৭০ জন পুরুষ প্রশিক্ষণার্থী ভর্তি করা হবে।
যেসব বিষয়ে প্রশিক্ষণ
এসো প্রকল্পের আওতায় মেয়েদের জন্য রয়েছে লাইট মেশিনারিজ, ইলেকট্রনিক্স, ইলেকট্রক্যাল মেইনটেইন্যান্স, অটোক্যাড, রেফ্রিজারেশন এবং এয়ারকন্ডিশনিং , হাউজ হোল্ড অ্যাপ্লায়েন্স, কার্পেন্টিং, প্লাষ্টিক প্রসেসিং (জেনারেল) এবং প্লাষ্টিক প্রসেসিং (কাষ্টমাইজ) বিষয়ক প্রশিক্ষণ। আর ছেলেদের জন্য রয়েছে ওয়েল্ডিং, ইলেকট্রিক্যাল মেইনটেইন্যান্স এবং রিফ্রিজারেশন অ্যান্ড এয়ারকন্ডিশনিং নামে তিনটি কোর্স । ৩ মাস প্রশিক্ষণ শেষে বিটাকে একটি জব ফেয়ার অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্নধাররা এসে তাদের চাহিদামত প্রার্থী বাছাই করে নিয়ে যান। প্রশিক্ষণ শেষে সার্টিফিকেটের সঙ্গে ওই প্রশিক্ষণার্থীদের চাকরির নিয়োগপত্রও হাতে তুলে দেওয়া হয়। এদিক বিবেচনায় বলা যায় যে, তিন মাস প্রশিক্ষণ নেওয়ার মাধ্যমেই চাকরি নিশ্চিত হচ্ছে অনেকের।
১৯৯৮ সাল থেকে শুরু হওয়া প্রকল্পটির আওতায় এখন পর্যন্ত অনেক নারী ও পুরুষ প্রশিক্ষণ নিয়েছে। যাদের বেশির ভাগই চাকরিতে যোগদান করেছেন। তবে এর মধ্যে বিভিন্ন জনকে বিভিন্ন শিল্প কারখানায় নিয়োগ দেয়া হয়েছে এবং কেউ কেউ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প গড়ে নিজেরা স্বাবলম্বী হচ্ছে।
কখন থেকে ভর্তি
(এসো) সেল্ফ এমপলয়মেন্ট অ্যান্ড প্রোভারটি এলিভিয়েশন প্রকল্পের আওতায় পরবর্তী কোর্সের কার্যক্রম আগামী ১৫/০১/২০১৯ তারিখ থেকে শুরু হবে।
যোগ্যতা
এসব প্রশিক্ষণ নিতে হলে প্রার্থীদের কমপক্ষে অষ্টম শ্রেণি পাস হতে হবে। বয়স হতে হবে ১৮ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে। তবে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, বিধবা বা তালাকপ্রাপ্ত নারীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। এসএসসি ও এইচএসসি পাস প্রক্ষিণার্থীদের শিক্ষাগত যোগ্যতার ওপর ভিত্তি করে বিভাগ বাছাই করা হয়ে থাকে।
কোন কোনো প্রতিষ্ঠানে চাকরি
দেশে ও বিদেশের বেশ কিছু বড় প্রতিষ্ঠান সারা বছরই চ্যারিটি ইউনিভার্সিটির কাছে প্রশিক্ষিত কর্মী চেয়ে চিঠি দিয়েছে।
ভবিষ্যত পরিকল্পনা
শুধু কর্মী পর্যায়েই নয়, চ্যারিটি ইউনিভার্সিটি এবার হাতে নিচ্ছে বড় একটি প্রকল্প। এ প্রকল্পের আওতায় তৈরি হচ্ছে একটি টুল ইনস্টিটিউট। এই প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন ধরনের যন্ত্রাংশ তৈরি করা হবে। এই যন্ত্রাংশগুলো দিয়ে দেশে নিজস্ব প্রযুক্তির মাধ্যমে গাড়ি তৈরি করা ছাড়াও দেশের বাইরের বড় বড় প্রতিষ্ঠানের গাড়ির পার্টস তৈরি করবে। এতে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনসহ বহুল জনশক্তি কাজের সুযোগ পাবে।